Sunday, November 13, 2016

Saturday, November 12, 2016

Saturday, November 5, 2016

Thursday, November 3, 2016

Tuesday, November 1, 2016


গত কয়েকদিন আগেই পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম সর্ববৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম আরএস-২৮ সামারসাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসল মস্কো। আর যা দিয়ে ফ্রান্সের মতো বিশাল ভূখণ্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। অনলাইনে এটির ছবি প্রকাশ করেছেন রুশ মাকিইয়েভে রকেট ডিজাইন ব্যুরোর প্রধান নকশাবিদ। শুধু তাই নয়, কয়েকধাপে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। সেখানে দাঁড়িয়ে মস্কোর একের পর এক শক্তি পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ক্রমশ সংঘাতে জড়াচ্ছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীনভাবে রাশিয়ান সীমান্তে বিশাল সমরসজ্জা সাজাচ্ছে ন্যাটো। এই জাবতকালে এমন সেনা মোতায়েন রাশিয়ান সীমান্তে আর হয়নি বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে মুহুর মুহুর শক্তি পরীক্ষা করছে রাশিয়া। অনেকের শঙ্কা, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে।

Sunday, October 30, 2016

Saturday, October 29, 2016






 মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা মহর আলী (৬০) রাজধানীর জুরাইনে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ছেলে মো. সুমন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত মহর আলী জুরাইনে একটি মোজা তৈরির কারখানার মালিক। তাঁর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তার বাবা মৃত আলী আকবর।
ওই কারখানার কর্মচারি ইব্রাহিম জানান, দুই বছর ভারতের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে আনা হয় সুমনকে। কিন্তু চিকিৎসার পরও তার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে সম্প্রতি বাসা থেকে হাত খরচের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ বিকালে মাদক সেবনের জন্য মহর আলীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চায় সুমন।
এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহর আলীকে সবার সামনেই গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সুমন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Friday, October 28, 2016

Online Daily Top Sites : সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বৈঠক...: সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের কৌশল ঠিক করতে আজ (শুক্রবার) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বৈঠকে বসছেন ইরান, সিরিয়া ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে যো...
সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের কৌশল ঠিক করতে আজ (শুক্রবার) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বৈঠকে বসছেন ইরান, সিরিয়া ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য সকালে মস্কোর উদ্দেশ্যে তেহরান ছেড়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যখন উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক অভিযান চলছে তখন ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠক হতে যাচ্ছে। মসুলে মার্কিন ও তুরস্কের সেনাদের অংশ গ্রহণ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। অন্যদিকে, আলেপ্পো অভিযানের ভেতরে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে তুরস্ক। ধারণা করা হচ্ছে- মস্কো বৈঠকে এসেই আলোচনায় আসবে। পাশাপাশি মসুল ও আলেপ্পো মুক্ত হলে দায়েশ-বিরোধী লড়াইয়ের গতি-প্রকৃতি কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেমের সঙ্গে প্রধানত সিরিয়া ও ইরাকে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করবেন। 
আঞ্চলিক ঘটনাবলীর পাশাপাশি জারিফ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও আলোচনা করবেন


Thursday, October 27, 2016

ফেসবুকে হাজারো মানুষ জানিয়েছেন একইরকমের আহব্বান

৫ বছরের পূজা দাশ’কে ধর্ষন করার সময় ধর্ষক
সাইফুল ইসলাম ব্লেড দিয়ে তার যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষন করছে…….
বাংলাদেশ মহামান্য বিচারপতির কাছে একটাই অনুরোধ,,,,,
ধর্ষক সাইফুল ইসলাম’এর পুরষাঙ্গ কর্তন করে
বাঁচিয়ে রেখে শাস্তি দেওয়া হোক…..
এটাই হবে পুজার প্রতি ন্যায় বিচার……
এবং প্রতিটা ধর্ষন মামলাতে ধর্ষককে এই
শাস্তীটাই দেওয়া হোক…..
ধর্ষক সাইফুল ও তার সহযোগীর যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লবন লাগিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এতো জঙ্গিদের তো ক্রসফায়ার দেন প্রধানমন্ত্রী, ওইসব জঙ্গিদের থেকেও নরপশু এই সাইফুলরা। এদের কেন ক্রসফায়ার দেন না.
আমি এমনিতে খুব নতজানু মানুষ। নিজেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি আমার ভেতরে ঢ্যাঁড়স স্বভাবের আদিখ্যাতা প্রকট প্রবল। ঘৃণা করলেই ফুরিয়ে যায় ঘৃণার পাগাঢ় ! আমি ভালবাসায় বাঁচি, ভালবাসায় মরি।
পাঁচ বছরের মেয়েটার জন্যে মায়া হচ্ছে। হারিয়ে গেছে তনু,মিতা আরো অনেকেই। আমি প্রবল কঠিন কঠোর ভাষায় বলতে চাইনা শাসক আপনি গদি ছাড়ুন। শাসক তো বলেনি , ধর্ষণ কর, খুন কর, লুটিয়ে দাও, লোপাট কর।

ধর্ষকের বিচার হোক, খুনিরা শাস্তি পাক এই দাবীতে আমিও অনড়।
কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করে ধর্ষক স্বামি, পুত্র, ভাই , পিতার পরিবারগুলোকে দেখতে । ধর্ষকের মা তার ছেলেকে খেতে দিয়ে কি বলে, খা বাবা খেয়ে খেয়ে আরো সুদৃঢ় করে তোল তোর পুরুষদন্ড। ধর্ষকের স্ত্রী কতখানি গলে গিয়ে বলে, ওগো বিছানায় আমার জন্যেও কিছুটা ভাগ রেখো। ধর্ষকের ভাই বোন কি বলে এটা কততম রে ভাইয়া ! কিম্বা ধর্ষক পিতার সন্তানরা কি বলে, বাবা এই দেখো রেজাল্ট আমিও তোমার মত মানুষ হচ্ছি !

একজন ধর্ষক খুনির চেয়ে এই পরিবারগুলো কতটা ভালো ? কেবল এরাই জানে এই ধর্ষক, খুনিদের। এরাই ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে । এদের প্রশ্রয়েই আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে পালিয়ে যাচ্ছে এই শয়তানরা। আমার ঘৃণা ধর্ষক খুনিদের সাথে পরিবারের এই সদস্যদের উপরেও।----
রুখসানা কাজল লিখেছেন

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের অবুঝ এক শিশু, নাম পূজা। বয়স সবে মাত্র পাঁচ বছর। পুতুল খেলার বয়স। এই বয়সে দিনে একাধিক বার পুতুলকে কাপড় পড়িয়ে অন্য এক পুতুলের সাথে বিয়ে দিবে আর কনের সাথে আসা অতিথি আপ্যায়ন করাবে মাটি দিয়ে ভাত বানিয়ে এটাই স্বাভাবিক। এই শিশুটিও ভিন্ন নয়, অন্য আর দশটা শিশুটির মতোই। তাই সেদিন বাড়ির পাশে পুতুল নিয়ে খেলতেও গিয়েছিল। কে জানত আজ ঘটবে বিপর্যয়? খেলতে গিয়েই মানুষ নামের অমানুষের হাতে শিশুটিকে হতে হবে ধর্ষিত।

গত ১৮ অক্টোবর উপজেলার জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামে সকাল ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে পুতুল খেলতে গিয়েই মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে গেল নিখোঁজ। শিশুটিকে খুঁজতে শুধু পরিবারই নয় পুরো গ্রামের মানুষই ছিল এককাতারে। না, তবুও কোথায় পাওয়া যাচ্ছে না, পশ্চিম আকাশে চলে গেছে সূর্য, বাবা-মা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন।
অবশেষে মাইকিং, মসজিদে ঘোষণা দেওয়াসহ নানাভাবে শিশুটির খোঁজ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে সে দিন না পেয়ে সেদিনই রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। পরদিন ভোর ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি হলুদক্ষেত থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরই তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি।

শাহরিয়ার পিউ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,
যদি একটা দৃষ্টান্ত আমরা দেখাতে পারতাম কোন ধর্ষকের বাবা-মা পরিজন তাকে জনসম্মুখে পাথর ছুড়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে তবে অন্তত অনেকজন র্ধষিত হবার আগে ধর্ষকের হাত থেকে বেঁচে যেতো … আর যদি এমন দৃষ্টান্ত ১০০জনের হয়? হোলি আটিসনের জঙ্গিদের বাবা-মারা তাদের সন্তানের লাশ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ফেলে রাখতে পারলে ধর্ষকদের বাবা মায়েরাও পারবে! পারতেই হবে!
আসিফ এন্তাজ রবি লিখেছেন,
মেয়েটি তাকে ”বড় বাবা” বলে ডাকতো। এই ”বড় বাবা”-ই মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং এইভাবে নির্মম নির্যাতন করেছে। ধর্ষক সাইফুলগ্রেপ্তার হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কিন্তু আমার একটি প্রস্তাব আছে। সাইফুলকে কেবল আইনের হাতে ছেড়ে দিলে চলবে না। সাইফুল একা নয়, সাইফুলের যে সমাজ, সেই পুরো সমাজের বিচার আমি দাবী করছে। সাইফুলের শিক্ষক কে ছিলেন, তিনি তার ছাত্রকে কি শিক্ষা দিয়েছেন যে সাইফুল এমন হলো? সাইফুলের শিক্ষককে সেই প্রশ্ন করতে হবে। সাইফুলের মা তার সন্তানকে কীভাবে মানুষ করেছেন, ছোটবেলায় তিনি কি সাইফুলকে ঘুম পাড়ানি গান শোনাতেন, সাইফুলের মা-কেও সামনে আনা হোক। সাইফুলের যারা ঘনিষ্ট বন্ধু, তাদেরকে সবার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। সাইফুল সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি কেমন, মেয়েদের সম্পর্কে সে কী আলোচনা করতো, এটা জানা খুব জরুরি। একইভাবে সাইফুলের স্ত্রী, তার বাবা, তার ঘনিষ্ট প্রতিবেশি সবাইকে ধরা হোক। সমাজবিজ্ঞানী, আইনবিদ, মনোবিদ, শিক্ষাবিদ সবাই এবার দয়া করে সাইফুলকে নিয়ে বসুন। সাইফুল কোনো একক ধর্ষকের নাম নয়, এটা একটা ভয়াবহ অসুখের নাম। যে অসুখে একজন মানুষ পাঁচ বছরের একটা বাচ্চাকে ধর্ষক, কামড় এবং সিগারেটের দাগ দিতে পারে। একজন সাইফুলকে আইনের আওতায় এনে একজন অসুস্থ মানুষের বিচার করা সম্ভব, কিন্তু রোগটা ধরা সম্ভব নয়। সমাজে যদি রোগটা থেকেই যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও সাইফুল জন্মাবে। আমরা তার লক্ষণ ইতিমধ্যে দেখতে পারছি। ধর্ষক এখন নিত্যদিনকার ঘটনা। কাজেই, আসুন সবাই দেশ থেকে ”সাইফুল রোগ” তাড়াই। অলরেডি অনেক দেরী হয়ে গেছে। সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কার, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক- আসুন সবাই এক হই। পুরো ঘটনা বুঝতে চেষ্টা করি। এই দেশে এমন নৃশংস ঘটনা কেন বার বার ঘটছে। আমাদের সকলেরই ব্যর্থতা
আছে। কোথায় সেই ব্যর্থতা, কেন সমাজে সাইফুলরা জন্মাছে। বিতর্ক বাদ দিন, পরস্পরের হাত
ধরুন। বাংলাদেশকে বাঁচান। 

** অঞ্জন লিখেছেন ,


শিশু পূজার ধর্ষক সাইফুল ইসলাম ওরফে কালা সাইফুইল্যা ৭ দিনের রিমান্ডে। It’s not enough to take him 7days remand. We strongly demand his death sentence so that in future any one can not think to commit such as crime in Bangladesh against kids and women. Hundred Thousands of Saiful Islam are doing such as crimes in our present society.To reduce the percentage of serious crime our honorable Lower and High Court should be taking a Historical step about their Judgment.etc.

ইমতিয়াজ মাহমুদ, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, লিখেছেন ,
পার্বতীপুরের ঘটনা। ওর পিতা একজন গাড়িচালক। ধর্ষক সম্ভবত দুইজন। এদের একজন মো. সাইফুল ইসলাম পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। দুর্গা গুরুতর অসুস্থ। ওকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
একজন বন্ধু খবরটা জানিয়েছেন সোমবার সকালে। তারপর আরেকজন। একজন বলেছেন ‘এই ঘটনা নিয়ে একটা কিছু বলেন ভাই।’ একজন জানিয়েছেন দুর্গার পিতার আর্থিক সামর্থ্য নাই যে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাবে। আমি কি কোন সাহায্যের ব্যবস্থা করতে পারি?
কাজের মধ্যে ছিলাম, বিস্তারিত ঘটনা জানতে জানতে একটু সময়ে লেগেছে। পুরো ঘটনা জানার পর স্তব্ধ হয়ে গেছি। কি করবেন আপনি? এটা নিয়ে কি ফেসবুকে জ্বালাময়ী পোস্ট লিখতে হবে? কিভাবে লিখবেন? সাহায্য করবেন? না ঠিক আছে, কিছু টাকা পয়সা আপনি জোগাড় করতে পারবেন। কত টাকা জোগাড় করবেন? এক লাখ? দুই লাখ? তেত্রিশ লাখ? বা ধরলাম তেত্রিশ কোটি টাকাই আপনি জোগাড় করলেন আপনি দুর্গাকে সাহায্য করতে। সেটা দিয়ে এই শিশুটির ক্ষতিপূরণ হবে? যে ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে শিশুটি সেটি মুছে ফেলতে পারবেন? হাজার কোটি দিয়ে পারবেন?
পাঁচ বছরের একটা শিশু! ভাবেন তো? আপনার ডানে বাঁয়ে তাকান। ঘরের ভিতর তাকান। ঘরের বাইরে তাকান। আপনার আশেপাশের একটা চার পাঁচ বা ছয় বছরের নারী শিশুর দিকে তাকান। কল্পনা করেন তো! কল্পনা করেন দুইটা চল্লিশ বিয়াল্লিশ বছরের শক্ত পুরুষ ওকে আটকে রেখেছে একটা ঘরে; কল্পনা করেন!
**
একটা শয়তানকে পুলিশ ধরেছে। ওর নাম মো. সাইফুল ইসলাম। আরেকটাকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি। ঐটার নাম কি কবিরাজ যেন। আপনি কী করবেন একটা সাইফুলকে ধরে বা একটা কবিরাজকে ধরে। কী করবেন এইরকম একটা দুইটা বা দুইশটা পুরুষকে ফাঁসি দিয়ে? ওরা কাজটা কী করেছে সেটা একবার কল্পনা করেন আর ভাবেন এদেরকে কী শাস্তি দিতে চান। আপনার কল্পনার সবচেয়ে ভয়াবহ শাস্তিটি দিলেও কি মনে করেন দুর্গার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার হয়ে গেল? ভাবেন তো; ভেবে বলেন!
ভেবে বলেন এইরকম দুইটা বা দুইশ শয়তানকে ফাঁসিতে ঝুলালে এই অত্যাচারের বিচার হবে? আমি কন্যা সন্তানের পিতা, আমি একজন সুস্থ স্বাভাবিক দায়িত্বশীল নাগরিক। আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে বলছি। এই দুই শয়তানকে কুচিকুচি করে কেটে যদি কুকুরকে দিয়ে খাওয়ান, তবুও তো দুর্গার এক ফোঁটা চোখের জলের বিচার হবে না। ভাববেন না আমি আবেগের বশে বলছি। চব্বিশ ঘণ্টার চেয়ে বেশী সময় আমি ভেবেছি। আমার কল্পনার যন্ত্রণাক্লিষ্ট একটি শিশুর মুখ ভেসে আসছে এখনো। কল্পনায় কী সব আসে বুঝতে পারেন। এই অত্যাচারের কী শাস্তি হতে পারে? কী শাস্তি দিবেন?
শাস্তি তো আপনি কেবল ঐ সাইফুলকে সাজা দেওয়ার জন্যে দিবেন না। শাস্তি দেওয়ার একাধিক উদ্দেশ্য থাকে। একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ শাস্তির ভয়ে অন্যরাও যাতে অপরাধ থেকে বিরত থাকে। আপনার কি মনে হয় আপনি যদি ভয়ঙ্করতম শাস্তিটিও দেন ঐ মো. সাইফুল ইসলামকে তাইলেই এইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না?
লক্ষ্য করে দেখেন, দুর্গা নামের শিশুটি কে? সে একজন নারী শিশু, সে একটি হিন্দু নারী শিশু, সে একটি দরিদ্র ঘরের নারী শিশু এবং সে একটি হিন্দু দরিদ্র ঘরের নারী শিশু। বাংলাদেশে ভালনারেবল হওয়ার যতরকম বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন সবই তার আছে। আপনি যতদিন নিশ্চিত করতে না পারবেন যে এইসব বৈশিষ্ট্যের কোনটাই একজন মানুষের অস্তিত্বের জন্যে বা মর্যাদার জন্যে বিপদজনক হবে না ততদিন পর্যন্ত এইরকম অত্যাচার চলতে থাকবে।

আমরা তো আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে শিশুর বিশেষ অধিকার শিখাই না। আমরা তো আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে নারীকে মানুষ বিবেচনা করা শিখাই না। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘুদেরকে সমান মর্যাদা দিতে শিখাই না। পিতামাতার বৈষয়িক অবস্থার কারণে শিশুদের অধিকার ও সুযোগের বৈষম্য করাকে আমরা স্বাভাবিক বলে শিখাই। এইসব যতদিন চলতে থাকবে এইরকম ঘটনাও ঘটতে থাকবে। থামবে না।
আপনি আপনার চারপাশে খুঁজলে এমন লোক পাবেন যে মনে করে যে ধর্ষণের জন্যে নারীরাই দায়ী। আমি এমন লোক দেখেছি যে বলেছে যে, ‘না, পাঁচ বছরের শিশুকে করা ঠিক হয়নাই, তবে হিন্দু মেয়েকে…’ ইত্যাদি। আপনি চেনেন না এরকম কাউকে? খুঁজলেই পাবেন; আপনার আশেপাশেই পাবেন।
কিন্তু এইসব কথা আর বলতে ইচ্ছা করে না। আপনারা সকলেই বুদ্ধিমান মানুষ। মানুষ এতো কিছু জানে। আওয়ামী লীগ বুঝে, বিএনপি বুঝে। বামরা কেন যুগের পর যুগ ব্যর্থ রাজনীতি করছে তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে দেওয়া লোক হাটে-মাঠে-ঘাটে গিজগিজ করে। নারী আর পুরুষ যে সমান, নারীও যে মানুষ এই কথাটা বুঝতে আপনাদের এতো জটিল লাগে কেন? কেন মানুষকে এইসব বাগাড়ম্বর করে বুঝাতে হবে যে নারীর সম্মতি ছাড়া নারীকে স্পর্শ করা অন্যায়। না মানে যে না, এই কথাটা কি এতোই জটিল?
না। আমি জানি কেন লোকেরা এইটা বুঝতে পারেনা যে নারীর সম্মতি প্রয়োজন। আমি জানি কেন আপনারা বুঝতে পারেন না যে না মানে না। কেন আপনারা নারীকে সম্পূর্ণ মানুষ বিবেচনা করেন না। কারণ আপনি যে বিশ্বাসকে নৈতিকতার ভিত্তি মনে করেন, সেই বিশ্বাস আপনাকে শিখায় না যে নারীও মানুষ। ঐসব শিক্ষা যদি ডি-লার্ন করতে না পারেন, তাইলে হবে না।

এই আমার মাথায় বার বার হানা দিচ্ছে দৃশ্যটা- একটা ফুটফুটে ফুলের মত শিশু হলুদ খেতের মাঝখানে পড়ে আছে মৃতপ্রায়- এ যেন আমার কন্যা কি আপনার কন্যা পড়ে আছে সেইখানে ব্রুট্যালি ভায়োলেটেড- এটা হচ্ছে পুরুষবাদী ধর্মাক্রান্ত শোষণমূলক সমাজের প্রচ্ছদ। এইটা একটা সত্য দৃশ্য, বাস্তব দৃশ্য। এইটা আমার কল্পনা না দুঃস্বপ্ন না। এটাই আমার সমাজ; আমার রাষ্ট্র।
** অঞ্জন লিখেছেন ,

শিশু পূজার ধর্ষক সাইফুল ইসলাম ওরফে কালা সাইফুইল্যা ৭ দিনের রিমান্ডে। It’s not enough to take him 7days remand. We strongly demand his death sentence so that in future any one can not think to commit such as crime in Bangladesh against kids and women. Hundred Thousands of Saiful Islam are doing such as crimes in our present society.To reduce the percentage of serious crime our honorable Lower and High Court should be taking a Historical step about their Judgment.etc.

Wednesday, October 26, 2016

Tuesday, October 25, 2016

এক সপ্তাহ ধরে শিশুটি মা-বাবা ছাড়া,,দয়া করে শেয়ার করে শিশুটির পরিবারকে পেতে সাহায্য করুন!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া চার মাস বয়সী একটি শিশু এক সপ্তাহ ধরে রয়েছে সরকারি শিশু পরিবারের এক কর্মকর্তার কাছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুন মাতৃস্নেহে তাকে রেখেছেন নিজের কাছে।
ইতিমধ্যে শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রওশন আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১৪ অক্টোবর সদর থানার ওসি মঈনুর রহমান রাস্তায় পাওয়া শিশুটিকে আমার কাছে রেখে যান। ফুটফুটে এই শিশুটিকে কোলে পেয়েই নাম রেখেছি তাকে শিশুর উপযোগী গুঁড়ো দুধ খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানান রওশন।


তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিনই বহু মানুষ সরকারি শিশু পরিবারে এসে এক নজর দেখার জন্যে ভিড় করছেন। অনেকে দত্তক নেওয়ার জন্যে আবেদন করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মঈনুর রহমান জানান, “গত ১৪ অক্টোবর শহরের কাজীপাড়ার মিয়ার সড়কের এক পাশে চার মাস বয়সী এই ফুটফুটে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে আমাকে একজন লোক খবর দেয়।
“পরে আমি তাকে কুড়িয়ে এনে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেই। পরে তাকে শিশু পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।”
এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সারা দেশের থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মুস্তফা মাহমুদ সারোয়ার বলেন, শিশুটিকে সরকারি শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুনের বাসায় রাখা হয়েছে। তিনি মাতৃস্নেহে তাকে লালনপালন করছেন।
“আমরা একটু অপেক্ষা করছি তার অভিভাবকের জন্যে। অপেক্ষার পরও যদি অভিভাবক না আসে তাহলে হয়ত তার ঠিকানা হবে চট্রগ্রামের ছোটমনি নিবাসে।”
তবে তাদের মহাপরিচালক দুয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিশুটি অপহরণের শিকার হলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এরপরও যদি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারা যায় তাহলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসপি মিজানুর। সূত্র. নেট

Sample Text

অতি শিঘ্রই সারা বিশ্ব মুসলিমরা রাজত্ব করবে। ট্রাক হেলপার শফিকুল বিসিএস ক্যাডার !! পাহাড় ধসে মৃত্যু ছাড়ালো শতাধিক !!

http://onlinestories24.blogspot.com/. Powered by Blogger.

Sample text

Sample Text




Example of richer text ad

Social Icons

Followers

Featured Posts

Social Icons

Edit this text
Scroll to anchor 1 Scroll to anchor 2

Anchor 1 - Lorem ipsum dolor sit amet, nonumes voluptatum mel ea.

Anchor 2 - Ex ignota epicurei quo, his ex doctus delenit fabellas.

Pages

Unordered List

Sticky note
. Scroll to anchor 1 Scroll to anchor 2

Anchor 1 - Lorem ipsum dolor sit amet, nonumes voluptatum mel ea.

Anchor 2 - Ex ignota epicurei quo, his ex doctus delenit fabellas.

Video

Popular Posts

Our Facebook Page


নেশার টাকা না দেওয়ায় রাজধানীর জুরাইনে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন !!!।