ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া চার মাস বয়সী একটি শিশু এক সপ্তাহ ধরে রয়েছে সরকারি শিশু পরিবারের এক কর্মকর্তার কাছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুন মাতৃস্নেহে তাকে রেখেছেন নিজের কাছে।
ইতিমধ্যে শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রওশন আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১৪ অক্টোবর সদর থানার ওসি মঈনুর রহমান রাস্তায় পাওয়া শিশুটিকে আমার কাছে রেখে যান। ফুটফুটে এই শিশুটিকে কোলে পেয়েই নাম রেখেছি তাকে শিশুর উপযোগী গুঁড়ো দুধ খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানান রওশন।
তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিনই বহু মানুষ সরকারি শিশু পরিবারে এসে এক নজর দেখার জন্যে ভিড় করছেন। অনেকে দত্তক নেওয়ার জন্যে আবেদন করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মঈনুর রহমান জানান, “গত ১৪ অক্টোবর শহরের কাজীপাড়ার মিয়ার সড়কের এক পাশে চার মাস বয়সী এই ফুটফুটে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে আমাকে একজন লোক খবর দেয়।
“পরে আমি তাকে কুড়িয়ে এনে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেই। পরে তাকে শিশু পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।”
এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সারা দেশের থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মুস্তফা মাহমুদ সারোয়ার বলেন, শিশুটিকে সরকারি শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুনের বাসায় রাখা হয়েছে। তিনি মাতৃস্নেহে তাকে লালনপালন করছেন।
“আমরা একটু অপেক্ষা করছি তার অভিভাবকের জন্যে। অপেক্ষার পরও যদি অভিভাবক না আসে তাহলে হয়ত তার ঠিকানা হবে চট্রগ্রামের ছোটমনি নিবাসে।”
তবে তাদের মহাপরিচালক দুয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিশুটি অপহরণের শিকার হলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এরপরও যদি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারা যায় তাহলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসপি মিজানুর। সূত্র. নেট
0 comments:
Post a Comment